স্টক মার্কেট সরকারি লাইসেন্সধারী রিয়েল টাইম ক্যাসিনো!

পুঁজিবাজারে বেহাল দশা লোকজন কথা বলছে! আসলে কি পুঁজিবাজার (Pujibazar) জুয়াড়িদের আড্ডাখানা? নাকি সরকারি লাইসেন্সধারী রিয়েল টাইম ক্যাসিনো (Casino)? আজকে আমি আপনাদের সাথে দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

প্রথমত ক্যাসিনো (Casino)কিছু সিক্রেট এবং দ্বিতীয়ত একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) কিভাবে ক্যাসিনো ) মত করে অর্থ উপার্জন করে।

Top Brokerage House in Bangladesh

পুঁজিবাজার (Pujibazar) বনাম ক্যাসিনো (Casino)

অনেকে বলে যে পুঁজিবাজার (Pujibazar) এবং ক্যাসিনো (Casino) কি একই রকম? আমি বলব হ্যাঁ!!! পুঁজিবাজারকে আপনি বলতে পারেন লাইসেন্সধারী রিয়েল টাইম ক্যাসিনো (Casino) ! এখন প্রশ্ন হলো, যারা ক্যাসিনো (Casino) তে জুয়া খেলছেন তারা সকলেই কি অর্থ হারান? উত্তরে আমি বলব, খেলোয়াড়রাই (Player) সব সময় টাকা হারায়। যদিও একজন খেলোয়াড় অল্প সময়ের জন্য অর্থ লাভ করে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক অর্থের ক্ষতির সম্মখিন হতে হয়। এটি সাধারণত ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। এখন কথা হল, ক্যাসিনো (Casino) কি সব সময় টাকা লাভ করে থাকে? উত্তরটা হলো হ্যাঁ! " ক্যাসিনো (Casino) অলওয়েজ উইন"।

যদি ব্রোকারেজ হাউস Brokerage House গুলোকে ক্যাসিনো (Casino) সাথে তুলনা করি তাহলে, সব ব্রোকারেজ হাউজগুলো দিন শেষে লাভবান হয়। আরেকটু সহজ কথায় বলতে গেলে ❝ House Always Win ❞ তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, ক্যাসিনো (Casino) সকল ক্ষেত্রে জয় নিশ্চিত। আপনি যখন কোন ক্যাসিনো (Casino) তে যাবেন, তখন সেখানে দেখতে পাবেন যে, খেলোয়াড়দের জন্য বিনামূল্যে বিশেষ বিনোদন, বিভিন্ন ধরনের খাবার,পানীয়, ইত্যাদি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যাতে করে লোকজন খেলোয়াড় এই খেলাটির প্রতি আকৃষ্ট হয়। তার মানে হল, যত লোকজন এই ক্যাসিনো (Casino) খেলাটি খেলবে ততো পরিমাণ ক্যাসিনো র মালিকগন মটাতাজা অথবা লাভবান হবে।

ক্যাসিনো কিভাবে কাজ করে?

একটি ক্যাসিনো (Casino) ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি সহকারে দিনের শেষে অর্থ উপার্জন করে থাকে। প্রথমে কেসিনো খেলাটি রুলেট (Roulette) সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ক্যাসিনো (Casino) খেলাটি সাধারণত একটি রুলেট (ঘুরান যায় এমন প্রকার চর্কি উপরের ছবিতে দেখান আছে ) এবং স্পিনিং ডিভাইস উপর নির্ভর করে। যার মধ্যে একটি বল কে ছেড়ে দেয়ার মাধ্যমে খেলাটি কে পরিচালনা করা হয় ।

আমরা জানি, একটি রুলেট (Roulette) মধ্যে কালো, লাল, সবুজ এই তিনটি রং দাঁরা কিছু সংখ্যক জোড় (Even) এবং বিজোড় (Odd) সংখ্যা অঙ্কিত থাকে । একটি ক্যাসিনো (Casino) বোর্ডে ১৮ টি জোড় (Even) অথবা কাল সংখ্যা এবং ১৮ টি বিজোড় (Odd Number) অথবা লাল সংখ্যা দ্বারা গঠিত থাকে। এছাড়া উপরে এবং নিচে দিকে ২ টি সবুজ রঙের শূন্য (০) ও ডাবল শূন্য (০০) সংখ্যা থাকে। এই সংখ্যাগুলিকে ক্যাসিনো (Casino) সিক্রেট বলা হয়।

ক্যাসিনো (Casino) কাজের পদ্ধতি | How to Play Roulette Strategy

এই ক্যাসিনো (Casino) খেলাটি ❝ ৫০ শতাংশ জয় এবং ৫০ শতাংশ পরাজয়ের ❞ অনুপাতের ভিত্তিতে খেলে থাকেন। এমনটাই ধারণা সবার !! কিন্তু কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধরুন, আপনি যখন একটি কালো রঙের সংখ্যার (Black Color Number) জন্য বিট করবেন। তখন ওই সংখ্যাটির জন্য জয় - পরাজয়ের অনুপাত নির্ধারিত হবে, খেলোয়াড় = ১৮/৩৮ [ ১৮ কাল রঙের জোড় সংখ্যা/১৮ কাল রঙের জোড় সংখ্যা + ১৮ লাল বিজোড় সংখ্যা এবং ২ সবুজ সংখ্যা (০) ] =৪৭.৩ % তাহলে, ক্যাসিনো (Casino) তে জয় পাবার সুযোগ থাকে, ক্যাসিনো (Casino) = ২০/৩৮ [ ২টি সবুজ সংখ্যা + ১৮ লাল বিজোড় সংখ্যা/১৮ কাল জোড় সংখ্যা এবং ১৮ লাল বিজোড় সংখ্যা এবং ২ সবুজ সংখ্যা ] =৫২.৭ % তাহলে, ক্যাসিনো (Casino) সাথে খেলোয়াড়দের জয়ের অনুপাত আমরা বলতে পারি, ক্যাসিনো (Casino) - খেলোয়াড়= ৫.৪ % বিস্মিত হচ্ছেন !!! অবিশ্বাস হলেও কথাটা সত্য ।

তাহলে, সহজে বোঝা যাচ্ছে যে, একটি ক্যাসিনো (Casino) র মালিক ৫.৪ % খেলোয়ারদের উপর থেকে উপার্জন করে। যাই হোক, উপরোক্ত হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ক্যাসিনো (Casino) সাথে খেলোয়াড়দের জয়ের অনুপাত শতকরা (%) কত শতাংশ তা পরিলক্ষিত হচ্ছে । সুতরাং এই কারণে ক্যাসিনো (Casino) ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত অর্থোপার্জন করে যাচ্ছেন। এখন কথা হল ৫.৪ % এটা আসলে কি? আসুন একটু আলোচনা করি।

ক্যাসিনো (Casino) খেলোয়াড়দের বেট ধরার কৌশল

আমরা জানি, ক্যাসিনো (Casino) খেলোয়াড়রদের দীর্ঘ সময় ধরে একটার পর একটা বেট করে থাকে। তাহলে আমরা হিসাব করতে পারি যে, ক্যাসিনো (Casino) তে ১ টাকায় বেট করে করে ০.০০৫ পয়সা। যখন ১০ লক্ষ টাকায় বেট করে তখন ক্যাসিনো (Casino) অর্থ উপার্জন করে ৪৫,০০০ হাজার টাকা । তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, খেলোয়াড়রা যত বার বেট করবে ক্যাসিনো (Casino) তত পরিমান অর্থ উপার্জন করবে। একটু পরিষ্কার করে বলছি যেমন ধরুন , যদি ক্যাসিনো (Casino) তে ১,০০০ বেট করে প্রত্যেক বেট ১ ,০০০ টাকা করে ধরা হয়।

পরিসংখ্যান করে দেখা যায়, ১০০০ বেট করে ক্যাসিনো (Casino) ৫২.৭ % অর্থ লাভ করে এবং খেলোয়াড় ৪৭.৩ % অর্থ লাভ করে। তাহলে এর থেকে বোঝা যায়, ক্যাসিনো (Casino) জয় করে ৫২৭ টি বেট এবং খেলোয়াড়রা জয় করে -473 টি বেট। তাহলে ক্যাসিনো (Casino) জয় করে, ৫২৭ X ১০০০ = ৫,২৭,০০০ টাকা খেলোয়াড়রা পরাজয় হয়, ৪২৩ X ১০০০ = ৪,৭৩,০০০ টাকা। তাহলে, সর্বমোট ক্যাসিনো (Casino) অর্থ লাভ করে, ৪,৭৩,০০০ - ৫,২৭,০০০ = ৫৪,০০০ টাকা। এটি হচ্ছে ক্যাসিনো (Casino) গোপন সূত্র

পেশাদার ট্রেডার

এখন দেখুন কিভাবে একজন পেশাদার ট্রেডার (internal link) ক্যাসিনো (Casino) মতো সূত্র ব্যবহার করে পুঁজিবাজার (Pujibazar) থেকে লক্ষ লক্ষ উপার্জন করেন। প্রথমে আমি বলতে চাই যারা বিনিয়োগ করেন, তাদের মধ্যে থেকে শতকরা ৯২ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারায় ক্যাসিনো (Casino) খেলোয়াড়দের মত করে। শুধুমাত্র তাদের কিছু ভুলের কারণে, যেমন ধরুন, কোনও ধরনের বিশ্লেষণ(ফান্ডামেন্টাল অথবা টেকনিক্যাল) করতে জানেন না। চার্ট সম্পর্ককে কোন ধরনের সঠিক জ্ঞান নাই অথবা বুঝেনা অথবা বুজতে চায় না।

তারা শুধু মাত্র BRO ভাইদের ❝ অমুক আমার তমুক ❞ কথায় ক্রয়-বিক্রয় অথবা নিজের ইমোশনের উপর ভিত্তি করে অথবা কোন টিপস (Capital Market Tips) অথবা ❝ অমুকের তমুক ❞ শেয়ারটি কিনেছেন অথবা কোন ❝ সামাজিক মাধ্যম থেকে ভাসে আসা কথা ❞ ভেবে বিনিয়োগ করে থাকেন।

দিন শেষে বিনিয়োগকারীদের সেই ক্যাসিনো (Casino) র খেলোয়াড়দের মত করুন অবস্থায় নিম্মজিত হতে হয়। যা খুবই দুঃখজনক। একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী (Investors) যখন একটি শেয়ার নির্বাচন করে তখন সেই শেয়ারটির জয়ের অনুপাত ৫০% অথবা পরাজয়ের অনুপাত হয় ৫০% । তার মানে হল ,শেয়ারটি উপরে উঠার সম্ভবনা ৫০% অথবা নিচে নামার সম্ভবনা ৫০% ।

এখন একটু ক্যাসিনো (Casino) দিকে আসা যাক ধরুন, আপনি যদি ক্যাসিনো (Casino) তে বিজয়ী হন তাহলে ❝ ১ টাকা বেট করে ১ টাকা পাবেন ❞ । আবার যদি আপনি পরাজিত হন তাহলে , ❝ ১ টাকা বেট করে ১ টাকা হারাবেন ❞ । ঠিক তেমনি, একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী যখন পুঁজিবাজারে যায় তখন ঠিক ক্যাসিনো (Casino) খেলোয়াড়দের মতো অবস্থা হয়ে থাকে। ❝ সামান্য পরিমাণ লাভের আশায় হারিয়ে ফেলে সর্বস্ব ❞

কেন পুঁজিবাজারকে জুয়াড়িদের বাজার বলা হয় ?

ধরুন, আপনি একটি কোম্পানির শেয়ার (Company Share) ক্রয় করে বসে থাকলেন এবং ভাবলেন এই শেয়ারটির মূল্য যখন উপরে উঠবে ঠিক তখনই আমি তা বিক্রয় করব। কিন্তু “ভাগ্যের নির্মম পরিহাস !!” বাজার শেষে দেখলেন শেয়ারের দাম ক্রমাগত ভাবে নিচের দিকে নামছে তো নামছেই ! আপনি ভাবলেন কয়েক দিন শেয়ারটিকে হোল্ড করে রেখে দেই। ❝ দেখি দাম বাড়ে কিনা! ❞ কিন্তু কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করা পর দেখলেন শেয়ারের দাম অনেক নিচে নেমে গিয়েছে । এটাকে আমরা বলে থাকি, “লুসার বিট অথবা ফ্যাট লস অথবা বড় ধরনের কোনো পতন”।

এছাড়া আরো অনেক ধরনের বিনিয়োগকারী (Investors) আছে যারা একটু প্রফিট Small Profit )( বুক করে মার্কেট থেকে বের হয়ে যায়। তারা মনে করে, ৩-৪ % মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসতে পারা যায়। তারা সাধারণত মার্কেটকে ভয় পেয়ে থাকে। যদি শেয়ারটির দাম নিচে পড়ে যায়। ঠিক সেই কারনে, প্রথম অবস্তায় তারা লাভজনক অবস্থানে থাকে।

তবে দীর্ঘমেয়াদে তারা প্রচুর পরিমান অর্থ হারিয়ে মার্কেট থেকে চির বিদায় নেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য দিন শেষে তারাই পুঁজিবাজারকে ❝ জুয়াড়িদের বাজার ❞ বলে ডেকে থাকেন । একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) সবসময় মোটা অঙ্কের টাকা খুব সহজেই উপার্জন করে থাকে। এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এটি কীভাবে সম্ভব? উত্তরটা হল সম্ভব!

এটি সাধারণত ক্যাসিনোর মতো কাজ করে। একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী (Investors) কোন কোম্পানির শেয়ার কিনলে ৫০ শতাংশ (%) লাভ ৫০ শতাংশ (%) লোকসান হওয়ার সম্বভনা থাকে । কিন্তু একজন স্মার্ট বিনিয়োগকারী (Investor) সব সময় মূল্য মুভমেন্ট এবং রেপিটেবল প্রাইস অ্যাকশন প্যাটার্ন দেখে ট্রেডিং করে থাকে। যেটাকে আমরা বলে থাকি, টেকনিক্যাল এনালাইসিস (Technical Analysis) । অনেকেই আছেন যারা টেকনিক্যাল এনালাইসিস (Technical Analysis) সম্পর্কে জানেন না তাদের অনুরোধ করছি এই লিঙ্কটির মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য

প্রাইস অ্যাকশন প্যাটার্ন দেখে ট্রেডিং করার পদ্ধতি

যখন একজন স্মার্ট বিনিয়োগকারী () চার্টে টেকনিক্যাল এনালাইসিস (Technical Analysis) প্রয়োগ করে তখন যদি প্রাইস প্যাটার্ন পুনরাবৃত্তিমূলক Repeatable Price Action Patterns)( হয় তাহলে পুরো সিস্টেম টি তাঁর অনুকূলে কাজ করবে। একটি উদাহরণ দেয়া যাক, এখানে আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করেছি। পরবর্তী পোষ্টে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।

আসা করছি সেই পর্যন্ত বিনিয়োগকারী.কম (Biniogkari.com) সঙ্গে থাকবেন। চার্টে সাধারণত তিন ধরনের প্যাটার্ন (Chart Patterns) তৈরি করে যেমন ধরুন, যখন একটি শেয়ারের চার্ট প্যাটার্ন উপরের দিকে উঠে অথবা হায়ার হাই (Higher-High) তৈরি করে তখন সেই মুভমেন্ট কে আমরা বলে থাকি আপট্রে্ডন প্যাটার্ন (Up-Trand Patterns ) (উপরের চিত্র দেয়া আছে )

যদি একটি শেয়ারের চার্ট প্যাটার্ন (Chart Pratern) নিচের দিকে নেমে যায় অথবা লোআর-লো (Lower-Low) তৈরি করে তাহলে সেই মুভমেন্টকে বলে থাকি টাউন ট্রেনড (Down-Trand Patterns) প্যাটার্ন । যখন একটি শেয়ারের চার্ট প্যাটার্ন উপরের দিকে না যায় অথবা নিচের দিকে না যায় অনেকটা মাজামাজি অবস্থানে বিরাজ করে তাকে আমরা বলি সাইডয়ায়স (Sideways Patterns) প্যাটার্ন।

যেমন ধরুন, একটি বল কে আপনি যদি বক্সের ভিতরে রেখে দেন, দেখবেন সেই বলটি একটি রেঞ্জ এর মধ্যে বাউন্স খাচ্ছে। আমার জানামতে এই তিনটি প্যাটার্ন ক্যাপিটাল মার্কেট (Internal Link) (Capital Market) কাজ করে থাকে। আপনাদের যদি আর কোন ধরনের প্যাটার্ন সম্পর্ককে জানা থাকে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এই তিনটি প্যাটার্ন সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে

কিভাবে হাইয়ার-হাই তে শেয়ার কিনতে হয়?

যখন একটি শেয়ার উপরের দিকে অথবা আপট্রেন্ডে (Up-Trand) যায় তখন তখন ছবিটি (উপরে) এইরকম দেখা যায় এবং এখানে একটি সাপোর্ট লেভেল (Support Level ) অথবা মুভিং এভারেজ (Moving Average) আঁকা রয়েছে। যখন আপনার প্যাটার্নটি একটি সাপোর্ট লেভেলে (Support Level) অথবা কোন মুভিং এভারেজ (Exponential Moving Average) উপরে থাকে তখন আমরা ধারণা করতে পারি সেখান থেকে প্রাইস মুভমেন্ট (Price Movement) উপরের দিকে যেতে পারে অথবা নিচের দিকে নেমে আসতে পারে।

উপরের ছবিতে মাত্র দুটি অপশন রয়েছে, হয় উপরে যাবে অথবা নিচে আসবে। যখন একটি শেয়ারের মূল্য তার সাপোর্ট লেভেলে অথবা একটি ভাল মভিং এভারেজ উপরে থাকবে তখন বুঝতে হবে যে শেয়ারটির মূল্য উপরের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) ঠিক তখনই শেয়ারটি ক্রয় করার সিধান্ত নিবেন। কিন্তু এটা কেউ ১০০ শতাংশ (%) গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারেনা যে, শেয়ারর মূল্য উপরে অথবা নিচে যাবে। কোন বিনিয়োগকারী যদি এই পুনরাবৃত্তি আপট্রেন্ড প্যাটার্ন (Repeatable Uptrend Pattern) কোন শেয়ার বাই করে তাহলে জয় এবং পরাজয় দুটোই সম্ভবনা থাকবে।

কিভাবে হিসাব করতে হবে?

ধরি, সাধারণত একটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ৬০ শতাংশ (%) অথবা ৫৫ শতাংশ (%) উপরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং তার সাথে ৪০ শতাংশ (%) অথবা ৪৫ শতাংশ (%) মূল্য নিচের দিকে যাওয়ার প্রবণতা আছে অথবা আমরা যে ট্রেন্ডে প্যাটার্নেটি (Trand Pratrn) দেখতে পাচ্ছি সেই টি যেকোনো সময় নিচে দিক পরিবর্তিত হতে পারে অথবা ডাউনট্রেন্ডে (Down-Trand) দিকে যেতে পারে।

তাহলে, আমরা ধরে নেই, একটি কোম্পানির শেয়ারের জন্য ৪০ শতাংশ (%) ক্ষতির এবং ৬০ শতাংশ (%) লাভের সম্ভাবনা আছে। তাহলে আমরা বলতে পার্‌ , লাভ=৬০ শতাংশ (%), ক্ষতি=৪০ শতাংশ (%) , সর্বমোট লাভের পরিমান= লাভ - ক্ষতি= ২০ শতাংশ (%) !!! আমরা দেখেছি যে ক্যাসিনো (Casino) তে ৫.৪ শতাংশ (%) লাভ হয়। কিন্তু একটি ভাল কোম্পানির শেয়ারে কত পরিমাণ লাভ হয় দেখে নিন ।

আবার যদি আমরা লাভ পরিমান কমিয়ে ধরি তাহলে আসে, লাভ = ৫৫ শতাংশ (%), ক্ষতি = ৪৫ শতাংশ (%), সর্বমোট লাভের পরিমান= লাভ - ক্ষতি= ১০ শতাংশ (%) !!, তাহলে আমরা সহজে বলতে পারি যে, একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) ক্যাসিনো (Casino) চেয়ে সর্বদা ভাল।

পেশাদার ট্রেডারদের বিট/ট্রেডিং করার ধরন?

যখন ক্যাসিনো (Casino) তে একজন খেলোয়াড় বিট করে তখন ১ টাকা বিপরীতে ১ টাকা আসে । তার মানে হল আপনি যদি ১ টাকা খেলেন তাহলে ১ টাকা লাভ করবেন । আবার যদি আপনি যদি ১ টাকা হারান তাহলে ১ টাকা লোকসান দিবেন । কিন্তু পুঁজিবাজারে একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) কখনোই ১ টাকার জন্য ১ টাকা বেট করে না ।

তারা সাধারণত ১ঃ২ অথবা ১ঃ৩ অনুপাতে বেট করে থাকে । সহজ করে বলতে গেলে,একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) ১ টাকার বিপরীতে ২ টাকা লাভ না পাওয়া পর্যন্ত শেয়ারটি ট্রেডিং করে না। আমি আরেকটা উদাহরন দিয়ে আপনাকে বিষয়টি সহজে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

ধরুন একটি কোম্পানির শেয়ার আপ-ট্রেন্ডে মুভমেন্ট (Up-Trand Movement) করছে । উপরের ছবির মাধ্যমে এটি দেখান হয়েছে যেমন ধরুন, একটি শেয়ার সর্বোচ্চ মূল্য রয়েছে ১৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন মূল্য রয়েছে ১০ টাকা । ধরুন, আপনি ১১ টাকায় একটি শেয়ার ক্রয় করলেন।

যদি কোন কারন বসত আপনার শেয়ারের মূল্য ৯ টাকায় এসে পড়ে তাহলে সাথে সাথে স্টপ লস বাবহারের মাধ্যমে সে শেয়ারটিকে বিক্রয় করতে হবে। আর এখান থেকে আপনার দুই টাকা লোকসান হবে। যদি আমাদের টার্গেট মূল্য ১৫ তে হিট করে তাহলে আমরা এখান থেকে ৪ টাকা লাভ পাব। তাহলে আপনি ঝুঁকি নিচ্ছেন ২ টাকা কিন্তু বিনিময়ে পাচ্ছেন ৪ টাকা।

১২ মাসে ১০০ টি ট্রেড নেয়ার লাভ ৬০ শতাংশ (%) এবং ক্ষতি ৪০ শতাংশ

এখন এটা যদি আমরা ক্রমাগতভাবে এপ্লাই করতে থাকি তবে , মনে করি, ১২ মাসে ১০০ টি ট্রেড নেয়ার চিন্তা করলে , ১২ মাসে ১০০ টি ট্রেড , লাভ ৬০ শতাংশ (%) এবং ক্ষতি ৪০ শতাংশ (%), ৬০ শতাংশ (%) x ২ টাকা - ৪০ শতাংশ (%) x ১ টাকা, ১২০ শতাংশ (%) টাকা লাভ - ৪০ শতাংশ (%) টাকা ক্ষতি, সর্বমোট লাভ = ১২০ শতাংশ (%) - ৪০ শতাংশ (%) = ৮০ শতাংশ (%) অথবা ৮০ টাকা, এখন যদি আমরা ধরে নিই আমাদের লাভের পরিমাণ ৫০ শতাংশ (%) তাহলে আমাদের হিসাব আসছে,

১২ মাসে ১০০ টি ট্রেড লাভ ৫০ শতাংশ (%) এবং ক্ষতি ৫০ শতাংশ (%)

১২ মাসে ১০০ টি ট্রেড , লাভ ৫০ শতাংশ (%) এবং ক্ষতি ৫০ শতাংশ (%), ৫০ শতাংশ (%) x ২ টাকা - ৫০ শতাংশ (%) x ১ টাকা, ১০০ শতাংশ (%) টাকা লাভ - ৫০ শতাংশ (%) টাকা ক্ষতি, সর্ব মোট লাভ = ১০০ শতাংশ (%) - ৫০ শতাংশ (%) =৫০ শতাংশ (%) অথবা ৫০ টাকা

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) ক্রমাগত ভাবে এভাবে পুঁজিবাজারে লাভ করে থাকে । আশা করি এই পোস্টটি সবার ভালো লাগবে আর পুঁজিবাজার (Pujibazar) সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।

আমি যতটুক জানি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। বিনিয়োগকারী.কম শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে গণসচেতনতা মুলক পোস্ট করার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য। যারা শেয়ার (Share Market) মার্কেটে জুয়াড়ির মনোভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেন তাদের থেকে যত দূরে থাকবেন ততোই ভালো। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন ❝ অর্থ আপনার সিদ্ধান্ত আপনার ❞

গুগল প্লে স্টোর থেকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে সেরা বিনিয়োগকারী.কম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন বিনিয়োগকারী .কম বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পুজিবাজার সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট - আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন!বিনিয়োগকারী.কম এখন ইউটিউবে! নিয়মিত ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ক ভিডিওগুলো পেতে Biniogkari ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ! এই লিঙ্কে চলে যান