একটি ভাল শেয়ার কেনার ১৬ টি উপায় : Best Stocks To Buy

পুঁজিবাজারে Dhaka Stock Exchange বিনিয়োগ করতে আগ্রহী? তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার Bangladesh Stock Exchange সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিদিনই শেয়ারবাজারে Dhaka Share Market পতন হচ্ছে কেউ কোন সঠিক কারণ দেখাতে পারছেন না। পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে কর্তৃপক্ষ Bangladesh Stock Exchange গুটিয়ে রয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশের জন্য মানববন্ধন করছেন । কিন্তু তাতে লাভ কি! আপনি যে অর্থ হারিয়েছেন তা কখনোই পুনরুদ্ধার করতে পারবেন না। এটাই বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে মার্কেট Dhaka Stock Bangladesh স্ট্রাকচার। শুধু মনে রাখবেন, ❝ সরকার আপনাকে সান্তনা ছাড়া কিছুই দেবে না ❞

যাই হোক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে Pujibazar আপনি যদি লাভ করতে চান তাহলে বিনিয়োগ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ❝ শুধুমাত্র সঠিক জ্ঞানের অভাবে আমরা হারিয়েছি আমাদের সর্বস্ব ❞ । মনে রাখবেন, দেশের সরকার (Bangladesh Government ) কখনো ব্যর্থতার দায়ভার নেবে না। আপনার ব্যর্থতার দায়ভার আপনাকেই বহন করতে হবে। আপনি যদি দেশের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাহলে ভুল করছেন । তাই আমি বলব সময় থাকতে নিজেকে শুধরে নিন।

Best Stocks To Buy

কিভাবে প্রতিযোগিতা করার যোগ্যতা অর্জন করবেন?

আপনি মার্কেটে Dhaka Stock Exchange Market স্মার্ট প্লেয়ারদের সাথে কম্পিটিশন করার যোগ্যতা অর্জন করুন। আপনি সাধারণ বিনিয়োগকারী তাই স্মার্ট ইনভেস্টরদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে মানববন্ধন করছেন। যা খুবই ❝ লজ্জাজনক ❞ এবং ❝ হতাশাজনক ❞ ! অন্যদিকে ❝ আপনার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে স্মার্ট বিনিয়োগকারীরা বিদেশে হলিডে পালন করছে ❞ । সেটা কি মেনে নেয়া যায়? কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। তাই এখনই সময় সতর্ক হোন।

নাটকীয়তার মাত্রা একটু বেড়ে গেল,😁 কিন্তু কথাগুলো সত্য। যাই হোক, এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি, কীভাবে একটি ভাল প্রতিষ্ঠান শেয়ার নির্বাচন করবেন? তার একটি সম্পূর্ণ নির্দেশিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করছি বিনিয়োগকারী.কম সাথেই থাকবেন ।

সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত কিভাবে নিবেন?

একজন সফল বিনিয়োগকারী তার প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানেন। তার সিদ্ধান্তটি ভুল অথবা সঠিক যাই হোক না কেন কেবলমাত্র তিনি তার সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী।আপনি কি ধারনা করতে পারেন যে, ওয়ারেন বাফেট (Waren Buffet) ট্রেডিং অথবা বিনিয়োগের মাধ্যমে কত $$$ ডলার লস করেছে।

এখন যদি ওয়ারেন বাফেট দোষ দেয় মার্কেটের উপর অথবা কোন প্রকারের ব্রোকারেজ হাউজের ওপর অথবা ❝ কোন এ্যাডভাইজারের নোংরা পরামর্শ ❞ দেওয়ার জন্য অথবা দেশের সরকারের ওপর।তাহলে কি এটা মেনে নেওয়া যায়! ❝ কোন ভাবেই না! ❞ এখন আপনি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন ❝ আমি কি আমার বিধিগুলি (Discipline) অনুসরণ করেছি? ❞ একটু চিন্তা করুন!

শেয়ার নির্বাচন করার আগে কি দেখে নেওয়া উচিত?

আপনি কোন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় (Share Buy-Sell) করবেন তা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি ভাল বিনিয়োগকারী হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানতে হবে।

শেয়ার নির্বাচন
আপনি কেমন ব্যক্তিত্ব একজন মানুষ?
আপনার কী পরিমাণ অর্থ রয়েছে?
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ জন্য আপনার কি ধৈর্য রয়েছে?
আপনি কোন ধরনের কৌশল নিয়ে ট্রেড করতে পছন্দ করেন?
আপনি কেমন বার্ষিক রিটার্ন চাই?
আপনি কি ফুলটাইম অথবা খণ্ডকালীন সময়,অথবা খুব কম সময়েই বিনিয়োগ করতে চান?
আপনার আর্থিক পরিস্থিতি অনুসারে আপনার ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা কী?
আপনি কি (২ দিন) ট্রেডিং এবং স্বল্প মেয়াদী ট্রেডিং করা মতো মানসিক চাপ নেয়ার ক্ষমতা আছে?
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ জন্য আপনার কি ধৈর্য রয়েছে?

ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে শেয়ার নির্বাচন করার স্মার্ট কৌশল

ট্রেডিং আপনার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। মনে করুন, আপনি যদি ২৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকেন। তাহলে, আপনার জন্য ইন্টারডে ট্রেডিং (Intraday trading) করার জন্য উপযুক্ত। আবার, আপনার বয়স যদি ৪৫-৬০ বছর বয়সের এর মধ্যে থাকলে আপনার জন্য ট্রেডিং প্রযোজ্য হবে না। তখন আপনি আপনার অর্থ কে অন্য কোণ ঊপায়ে বিনিয়োগ করতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনার মোট ১০০% অর্থের পরিমাণ থেকে ৭০% নিরাপদ এবং সুরক্ষা জন্য অপসারণ করতে হবে (এফ ডি আর অথবা ব্যাংক) জমা রাখতে হবে। আর ৩০% অর্থ দিয়ে আপনাকে পুঁজিবাজার Dhaka Stock Exchange বিনিয়োগ করতে হবে। যার ফলে শেয়ার বাজারে Share Bazar কোন বড় ধরনের পতন হলেও আপনি তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এই লিঙ্কটি মাধ্যমে আপনার অর্থ পরিচালনা করার পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করে আছে।

পুঁজি উপর নির্ভর করে কতটা ঝুঁকি নিচ্ছেন ?

অনেক নতুন বিনিয়োগকারী আছেন যারা জুয়াড়ি মনোভাব নিয়ে “দেখি না কি হয়!” ভিত্তিতে আসেন দেখার জন্য আসলেই কি শেয়ার মার্কেট (Share Market) মানি মাইন ?। দিন শেষে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান দিয়ে পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে যায়।

আপনার মোট ক্যাপিটাল এর উপর শতকরা কত শতাংশ ঝুঁকি নিচ্ছেন সেই বিষয়ে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনার কাছে মোট অর্থের পরিমান এক লাখ টাকা রয়েছে। আপনি শুধুমাত্র একটি শেয়ার পিছনে সম্পূর্ণ অর্থ (এক লক্ষ টাকা) শেয়ার কিনে ফেললেন ,এতে করে আপনি প্রচুর পরিমাণ লোসের সম্মুখীন হতে পারেন।

প্রতিষ্ঠান/পরিচালকের সম্পর্কে (About Company)

আপনি যে কোম্পানির শেয়ার কিনবেন বলে ভাবছেন সেই কোম্পানি পরিচালকের শতকরা কত পরিমান শেয়ার আছে তা চুলচেরা বিশ্লেষণ করুন। তাদের সামাজিক/রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে সব বিষয়ে নজর রাখুন।

এছাড়া কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের কতটুকু স্বার্থ রক্ষা করছে সে বিষয়ে অবহিত থাকতে হবে। কোনও সংস্থা ব্যবসা কতটা ভাল করে তা নির্ভর করে ব্যবসায়ের উদ্যোক্তা দূরদৃষ্টি, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার উপর।

ট্রেডিং ডিসিপ্লিন

আপনার সব সময় একটি ট্রেডিং ডিসিপ্লিন (Trading Discipline in Stock Market) মেনে চলা উচিত। যেমন ধরুন, আপনি কখনোই জেড ক্যাটাগরি অথবা কম দামী শেয়ার কিনবেন না। এছাড়া মনে রাখতে হবে যে, শেয়ার ডাউনট্রেন্ডে চলছে সেখান থেকে আপনি কখনোই প্রফিট অর্জন করতে পারব না। কথায় আছে ❝ ট্রেন্ড আপনার বন্ধু ❞ অতএব ট্রেন্ড অনুসারে আপনার ট্রেড নির্বাচন করুন। টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের Technical and Fundamental Analysis মাধ্যমে একটি সিস্টেম অথবা ট্রেডিং ডিসিপ্লিন Trading Discipline তৈরি করুন ।

কখন একটি শেয়ার আপ ট্রেন্ড কিভাবে লং (Long Trand) করতে হয় আবার ডাউনট্রেন্ড কিভাবে শট (Short Sell) করতে হয় সহজ কথায় বলতে গেলে কিভাবে একটি শেয়ারের পজিশন সাইজিং Position Sizing করতে হয় তা আপনার ট্রেডিং ডিসিপ্লিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত । এই লিঙ্কটি মাধ্যমে আপনার অর্থ পরিচালনা করার পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করে আছে। আরও পড়ুন : ক্যাসিনোর বনাম পুঁজি বাজার - Casino vs. Capital Market

মৌলিক বিশ্লেষণের ভিত্তিক মাধ্যমে শেয়ার নির্বাচন করার উপায়

ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস (Fundamental Analysis ) মূলত একটি কোম্পানির ব্যালেন্স শীট ,ক্যাশ-ফ্ল ,লাভ এবং লোকসান স্টেটমেন্ট, ইত্যাদির মাধ্যমে একটি কোম্পানি ভালো না খারাপ সেই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায় । বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের (Pujibazar) সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মৌলভিত্তিক বিশ্লেষণ করলে কতটুকু উপকৃত হয়েছে সেটা নিয়ে তর্কের সীমা নেই।

বিভিন্ন ধরনের ভুলের জর্জরিত আমাদের দেশের পুঁজিবাজার (Pujibazar)।যাই হোক আমি বলব, মৌলভিত্তিক ডেটা এনালাইসিস ছাড়া চার্ট এনালাইসিস (Chart Analysis ) নজর একটু বেশি দিতে হবে। আরও পড়ুন : ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস বনাম টেকনিক্যাল এনালাইসিস

সেক্টর ফিল্টারিং এর মাধ্যমে স্টক নির্বাচন?

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ Bangladesh Stock Exchange থেকে আপনার পছন্দের একটি সেক্টর(ব্যাংক, সিমেন্ট, প্রযুক্তি , বিদ্যুৎ ও শক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) নির্বাচন করুন এবং সেখান থেকে শীর্ষ পাঁচটি শেয়ার ফিল্টার করুন । তারপরে শীর্ষ পাঁচটি শেয়ার থেকে শীর্ষে একটি শেয়ার ফিল্টার করুন।

সুতরাং, এভাবে সর্বনিম্ন তিনটি সেক্টর থেকে তিনটি শেয়ার নির্বাচন করুন। এটি আপনার পোর্টফোলিওতে ক্ষতিকে অনেক উপায়ে হ্রাস করবে।

পি/ই অনুপাত (Price to Earnings Ratio)

পিই রেশিও দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের প্রাপ্ত পিই রেশিও ১৫-২০ কম হলে ভালো হয়। এই লিঙ্কটি মাধ্যমে জানতে পারবেন।

শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (NAV) ?

শেয়ারের প্রতি সম্পদ মূল্য অবশ্যই (NAV) অবশই দেখবেন। নেভের সাথে ক্লোজিং প্রাইস একটা সামঞ্জস্য পূর্ণ থাকা উচিত যাতে শেয়ার ভাল বা খারাপ কিনা তা বোঝা যায়।

ইপিএস (Earnings per Share)

মনে রাখবেন যে কোন শেয়ারের ইপিএস (EPS) যত বেশি হবে, আমাদের জন্য ততই মঙ্গল।

ক্লোসে প্রাইস লিমিট (Base/Close Price Lower/Upper Limit)

সর্বমোট আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ার (Total Outstanding Share)

সর্বমোট আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ার কত গুলো আছে সেগুলো দেখতে হবে। শেয়ারের সংখ্যা কম হলে দাম উঠে যায় এবং বেশি থাকে তবে দাম কমে যায়।

দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ( Long Term Loan)

দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ এক নজরে দেখে নেয়া ভালো যার ফলে সেই সেক্টর সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়।

অথরাইজড / বাজার মূলধন/পেইড আপ ক্যাপিটাল (Market Cap/Paid-Up-Cap)

অথোরাইজড ক্যাপিটাল এবং পেইড আপ ক্যাপিটাল রেশিও যত কাছাকাছি থাকবে রাইট শেয়ার ইস্যু করা তত কঠিন হবে।

ডাটা রেকর্ড দেখুন

Dhaka Stock Exchange নিবন্ধিত কোম্পানির গত ১০ বছরের ডাটা রেকর্ড দেখুন। কোন কম্পানি কখন কী পরিমাণ ডিভিডেন্ড অথবা লাভ অংশ দেয় তা দেখুন। বার্ষিক গড় মূল্য ভালভাবে দেখুন এবং এই দামের কাছাকাছি শেয়ার কিনতে চেষ্টা করুন।

লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত (Dividend Payout Ratio)

Dhaka Stock Exchange নিবন্ধিত কোম্পানির গত ১০ বছরের ডাটা রেকর্ড দেখুন। কে কখন কী পরিমাণ ডিভিডেন্ড অথবা লাভ অংশ দেয় তা দেখুন। বার্ষিক গড় মূল্য দেখুন। এই দামের কাছাকাছি শেয়ার কিনতে চেষ্টা করুন।

টার্ন ওভার/রেভিনিউ (Turnover/Revenue)

একটি শেয়ারে টার্নওভার/রেভিনিউ (Turnover/Revenue) খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যে শেয়ার আপনি কিনতে ইচ্ছুক সেই সেক্টরের (ব্যাংক, ফাইন্যান্সিয়াল, বিদ্যুৎ শক্তি ইত্যাদি) সবগুলো শেয়ারের ট্রান ওভার উপর ভিত্তি করে সেই শেয়ার বাছাই করুন । ভবিষ্যতে সেই শেয়ারটির দাম বেড়ে যেতে পারে।

রিজার্ভ/সারপ্লাস (Reserve/Surplus)

  • স্টক মার্কেটে, রিজার্ভ/সারপ্লাস বলতে একটি কোম্পানির সঞ্চিত আয় বা মুনাফা বোঝায় যা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসাবে বিতরণ না করে ব্যবসার মধ্যে ধরে রাখা হয়।
  • এটি একটি কোম্পানির লাভের অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে যেটি লভ্যাংশ হিসাবে বিতরণ করা হয় না কিন্তু পরিবর্তে কোম্পানিতে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় বা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য একটি রিজার্ভ হিসাবে রাখা হয়।
  • রিজার্ভ হল একটি কোম্পানির ব্যালেন্স শীটে শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটির একটি অংশ। এটি সাধারণত একটি পৃথক লাইন আইটেম হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং কোম্পানির দ্বারা অনুসরণ করা অ্যাকাউন্টিং মানগুলির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন নামে রিপোর্ট করা হয়, যেমন ধরে রাখা উপার্জন, সঞ্চিত লাভ, বা ধরে রাখা উদ্বৃত্ত।
  • রিজার্ভ/সারপ্লাস অ্যাকাউন্ট সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় যেহেতু একটি কোম্পানি মুনাফা তৈরি করে এবং শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করার পরিবর্তে সেই লাভের একটি অংশ ধরে রাখতে বেছে নেয়।
  • এই রক্ষিত উপার্জনগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ভবিষ্যতের সম্প্রসারণ প্রকল্পে অর্থায়ন, ঋণ পরিশোধ, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, বা কোম্পানির আর্থিক অবস্থানকে শক্তিশালী করা।
  • কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং নমনীয়তা নির্ধারণে রিজার্ভ/উত্তর একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটি তহবিলের একটি কুশন সরবরাহ করে যা চ্যালেঞ্জিং সময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে বা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য পুনঃবিনিয়োগ করা যেতে পারে।
  • বিনিয়োগকারীরা এবং বিশ্লেষকরা প্রায়শই একটি কোম্পানির রিজার্ভ/উদ্বৃত্তের আকার এবং প্রবণতা বিবেচনা করে যখন কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের লভ্যাংশ বা মূলধনের মূল্যায়নের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে।

রিটার্ন ও ইকুইটি (Return On Equity/Assets)

রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেটস (ROA) হল আর্থিক অনুপাত যা স্টক মার্কেটে একটি কোম্পানির মুনাফা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। এখানে প্রতিটি অনুপাতের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE): রিটার্ন অন অ্যাসেটস (ROA):
রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE): শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি থেকে কতটা কার্যকরভাবে লাভ জেনারেট করে তা মূল্যায়ন করে ROE কোম্পানির লাভজনকতা পরিমাপ করে। এটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা করা বিনিয়োগের উপর অর্জিত আয় নির্দেশ করে। রিটার্ন অন অ্যাসেটস (ROA): ROA একটি কোম্পানির লাভজনকতা পরিমাপ করে তা মূল্যায়ন করে যে এটি উপার্জন করতে তার মোট সম্পদকে কতটা দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে। এটি কোম্পানির মোট সম্পদের উপর অর্জিত আয় নির্দেশ করে।
ROE-এর সূত্রটি হল: ["ROE = (নিট আয় / শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটি) * 100"] নেট আয় বলতে সমস্ত খরচ এবং কর বাদ দিয়ে কোম্পানির মুনাফা বোঝায়। ROA-এর সূত্রটি হল: [ROA = (নিট আয় / মোট সম্পদ) * 100] নিট আয়, যেমন আগে উল্লিখিত হয়েছে, কোম্পানির মুনাফার প্রতিনিধিত্ব করে।
শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি কোম্পানির মোট সম্পদ বিয়োগ করে মোট দায়গুলিকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা মূলত কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ৷ ROE কে শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয় এবং কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা প্রদত্ত তহবিল ব্যবহার করে মুনাফা তৈরির ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। যখন মোট সম্পদগুলি কোম্পানির মালিকানাধীন সমস্ত সম্পদকে বোঝায়, যার মধ্যে বাস্তব এবং অস্পষ্ট উভয় সম্পদও রয়েছে৷ ROA একটি শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয়। এটির সম্পদ বেসের আকারের সাথে সম্পর্কিত মুনাফা উৎপন্ন করার জন্য একটি কোম্পানির ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।

ROE এবং ROA উভয়ই একটি কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকদের দ্বারা ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ সূচক৷ একটি উচ্চতর ROE এবং ROA সাধারণত যথাক্রমে আরও ভাল লাভজনকতা এবং দক্ষতা নির্দেশ করে৷ যাইহোক, এই অনুপাতগুলিকে শিল্পের গড়গুলির সাথে তুলনা করা এবং একটি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্যের একটি বিস্তৃত বোঝার জন্য অন্যান্য কারণগুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

গত বছর নগদ প্রবাহ অপারেশন (Cash Flow Operation Last Year)

স্টক মার্কেটের পরিপ্রেক্ষিতে "গত বছরের operating থেকে Cash flow" পূর্ববর্তী অর্থবছরে একটি কোম্পানির মূল ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলির দ্বারা উত্পন্ন নগদ পরিমাণকে বোঝায়৷ একটি আর্থিক কোম্পানির প্রতিদিনের কার্যক্রম থেকে নগদ উপার্জন করার ক্ষমতার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

Cash flow গণনা করা হয় ব্যয় এবং কার্যকরী মূলধনের পরিবর্তনের জন্য নিট আয় সামঞ্জস্য করে। এটি একটি কোম্পানির প্রাথমিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলির দ্বারা উত্পন্ন নগদকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেমন বিক্রয় থেকে রাজস্ব এবং সংশ্লিষ্ট খরচ।

কার্যক্রম থেকে Cash flow বিশ্লেষণ করা বিনিয়োগকারীদের এবং বিশ্লেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি কোম্পানির অন্তর্নিহিত নগদ-উৎপাদন ক্ষমতার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, অর্থায়ন বা বিনিয়োগের কার্যক্রমের মতো অ-কার্যকর বিষয়গুলি থেকে স্বাধীন। এটি দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য, তারল্য এবং স্থায়িত্ব মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্মস সমূহ

মোট টার্নওভার (Total Turnover), মোট লাভ (Net Profit), নিট আয়( Net income), রিটার্ন এবং ইক্যুইটি(Cash Flow), নগদ প্রবাহ (Cash Flow), বিটা(Beta), চলতি সম্পদ(Return on Equity), বর্তমান দায় (Current Liability), মোট ইকুইটি ( Total Equity), মোট দায়বদ্ধতা (Total Liability ), ইন্টারেস্ট পেইড (Interest Paid)

শেষ কথা

ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৮ শতাংশ । তবুও, বাংলাদেশের শেয়ার বাজার এখনও। একটি নবজাতক পর্যায়ে রয়েছে।

আমরা যদি ভারতকে একটু নজর দেই তবে বুঝতে পারি যে আমরা কোথায় আছি। মনে রাখবেন, শেয়ার বাজারে কোন অভিভাবক নেই । কখনো অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে শেয়ার মার্কেটে ঝাঁপ দিবেন না।

আমি যতটুক জানি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। বিনিয়োগকারী.কম শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে গণসচেতনতা মুলক পোস্ট করার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য। যারা শেয়ার (Share Market) মার্কেটে জুয়াড়ি মনোভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেন তাদের থেকে যত দূরে থাকবেন ততোই ভালো। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন "অর্থ আপনার সিদ্ধান্ত আপনার"

গুগল প্লে স্টোর থেকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে সেরা বিনিয়োগকারী.কম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন বিনিয়োগকারী .কম বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পুজিবাজার সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট - আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন!বিনিয়োগকারী.কম এখন ইউটিউবে! নিয়মিত ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ক ভিডিওগুলো পেতে Biniogkari ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ! এই লিঙ্কে চলে যান

এক নজরে দেখে নিন

মনের অজান্তে তৈরি হয়া কিছু প্রস্ন হ্যাঁ না
আমি টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস বুঝি না আমার কি ক্যাপিটাল মার্কেট এ ইনভেস্ট করা উচিত ?
ব্রোকারেজ হাউজে কর্মরত কোন বড় ভাই অথবা অফিশিয়াল ট্টডার অথবা টেলিভিশন অথবা সোশ্যাল মিডিয়া কোথায় কোন স্টকে ইনভেস্ট করা উচিত ?
আমি নতুন পুঁজি বাজারে এসেছি আমার কি ডে ট্রেডিং(২ দিন )করা উচিত ?
শেয়ারের দাম কমে গেলে আমার কি স্টপ লস ব্যবহার করা উচিত ?
নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজি বাজারে কি ওয়িক ট্রেডিং ( সপ্তাহ ) করা উচিত ?