বাংলাদেশ শেয়ারবাজার টিপস ☆ Stock Market for Beginners

শেয়ারবাজার কী? এই পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে শেয়ারবাজার এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) সম্পর্কে জানাবো, যাতে আপনি বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

Stock Market for Beginners in Bangladesh

শেয়ারবাজার কী?

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বাংলাদেশে একটি সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এখানে শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার এবং সরকারি ও প্রাইভেট বন্ডের লেনদেন হয়। সহজভাবে বললে, এটি একটি বাজার যেখানে বিভিন্ন আর্থিক পণ্য কেনা-বেচা হয়।

শেয়ারগুলো বিভিন্ন সেক্টরে বিভক্ত, যেমন ব্যাংকিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, পাওয়ার ও শক্তি। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের পছন্দের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে এই সেক্টরগুলোতে প্রবেশ করেন।

ক্যাপিটাল মার্কেট দুটি ভাগে বিভক্ত: প্রাইমারি মার্কেট এবং সেকেন্ডারি মার্কেট।

প্রাইমারি মার্কেট

প্রাইমারি মার্কেট: শেয়ার বাজারের প্রথম ধাপ

প্রাইমারি মার্কেট হল সেই বাজার যেখানে নতুন শেয়ার প্রথমবারের জন্য বিক্রি করা হয়। কোম্পানি এখানে পুঁজি সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য।

প্রাইমারি মার্কেটের গুরুত্ব

  • পুঁজি সংগ্রহ: কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
  • শেয়ারের দাম নির্ধারণ: কোম্পানি ও আর্থিক পরামর্শকেরা শেয়ারের দাম নির্ধারণ করেন।
  • বিনিয়োগকারীর সুযোগ: নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা অংশীদারিত্ব অর্জন করে।

প্রাইমারি মার্কেটের প্রক্রিয়া

  1. শেয়ার ইস্যু সিদ্ধান্ত: কোম্পানির বোর্ড নতুন শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
  2. শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ: কোম্পানি ও আর্থিক পরামর্শকরা দাম নির্ধারণ করে।
  3. অ্যালোটমেন্ট: আবেদন গ্রহণের পর শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হয়।
  4. সেকেন্ডারি মার্কেটে প্রবেশ: ইস্যুকৃত শেয়ার পরবর্তীতে বাজারে লেনদেনের জন্য প্রবেশ করে।

উদাহরণ: Initial Public Offering (IPO) – কোম্পানি প্রথমবারের জন্য শেয়ার সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করে। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির অংশীদার হন।

সেকেন্ডারি মার্কেট

সেকেন্ডারি মার্কেট হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রাইমারি মার্কেটের ইস্যুকৃত শেয়ারগুলোর লেনদেন হয়। বিনিয়োগকারীরা এখানে শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন।

সেকেন্ডারি মার্কেটের গুরুত্ব

এটি বাজারের তরলতা নিশ্চিত করে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য কার্যকর প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। শেয়ারের দাম চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে।

সেকেন্ডারি মার্কেটের প্রকারভেদ

  • এক্সচেঞ্জ মার্কেট: ফরমাল এক্সচেঞ্জে শেয়ার তালিকাভুক্ত ও লেনদেন হয়, যেমন DSE ও CSE।
  • ওভার দ্য কাউন্টার (OTC): অবৈধভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সরাসরি লেনদেন হয়।

সেকেন্ডারি মার্কেটের সুবিধা

  • বাজারে তরলতা: শেয়ার সহজেই কেনা-বেচা সম্ভব।
  • দাম নির্ধারণ: বাজার চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে।
  • বিনিয়োগের সহজ মাধ্যম: নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ ও কার্যকর।

শেয়ার বাজারের ধারণা বোঝার জন্য এই আলোচনাটি প্রথম পর্ব। পরবর্তী পর্বগুলোতে বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে।