![]() |
Positioning Sizing Ricks Management System |
পসিশনিং সাইজিং কি?
দুটি শব্দ পসিশনিং এবং সাইজিং। পসিশনিং হল অবস্থান এবং সাইজিং হল যে অবস্থান আমাদের পক্ষে অথবা বিপরীতে যাওয়ার ঝুঁকির প্রবণতা কে নিয়ন্ত্রণ করে।সহজ কথায় বলতে গেলে প্রত্যেক ট্রেডে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কত গুলো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করবেন এই বিশেষ পদ্ধতি বলে পসিশনিং সাইজিং অথবা ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Positioning Sizing Ricks Management System)।
![]() |
Positioning Sizing |
- ৬০ শতাংশ সাইকোলজি ( Psychology )।
- ৩০ শতাংশ আসে পসিশনিং সাইজিং ( Positioning Sizing ) এবং
- ১০ শতাংশ আসে কোন ধরনের কৌশল ( Entry Signal Exit Signal Strategy) ।
অনেক ট্রেডার আছেন যারা টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস সবকিছুই ব্যবহার করেন তবুও তারা ক্রমাগত ভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারে না তাঁর প্রধান কারন হল, তারা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অথবা পজিশনাল সাইজিং সঠিক ভাবে প্রয়োগ করে না ।
![]() |
পসিশনিং সাইজিং কি? |
পসিশনিং সাইজিং আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে
- কোন ট্রেডিং জন্য কতগুলি শেয়ার ক্রয় (Long ) / বিক্রয় (Short ) করা উচিত ।
- নির্দিষ্ট ট্রেডিং জন্য কি পরিমাণ ঝুঁকি নিচ্ছেন পুরো পোর্টফোলিও উপর।
- আপনার পোর্টফোলিও থেকে কি পরিমাণ অর্থ রিটার্ন প্রত্যাশা করেন।
পসিশনিং সাইজিং গণনা করার পদক্ষেপ
প্রথম পদক্ষেপঃ
পসিশনিং সাইজিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে, আপনার একাউন্টে কি পরিমাণ অর্থ অথবা নেট লিকুইডেশন (Net Liquidation) রয়েছে। এখানে নেট লিকুইডেশন বলতে বোঝানো হয়েছে যে আপনার কাছে কি পরিমাণ শেয়ার রয়েছে ও তার বাজার মূল্য কত এবং আপনার একাউন্টে যে পরিমাণ টাকা অবশিষ্ট আছে তাঁর সমষ্টিকে। একটি উদাহরণ দেয়া যাক,ধরুন আপনার একাউন্টে সর্ব মোট শেয়ার এবং নগদ অর্থসহ ১০,০০০ টাকা রয়েছে। তাহলে আমরা বলতে পারি,
মোট অর্থ অথবা নেট লিকুইডেশন = সর্ব মোট শেয়ার + নগদ অর্থ =১০০০০/-
দ্বিতীয় পদক্ষেপঃ
আমাদের নির্ধারণ করতে হবে প্রত্যেক ট্রেডে কি পরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে ? এখানে প্রত্যেক ট্রেডিং সর্বোচ্চ কি পরিমান লোকসান হয়েছে সেটা বোঝানো হচ্ছে। যখন আপনার স্টপ-লস (Stop-Loss) হিট করে তখন আপনি সর্ব মোট অর্থ থেকে সর্বোচ্চ কি পরিমাণ লোকসান নিচ্ছেন। লোকসান টা কত শতাংশ হচ্ছে সেই সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। সাধারণত প্রতি ট্রেডে আপনার সর্ব মোট অর্থ পোর্টফোলিও থেকে লোকসান ১-3 শতাংশ বেশি ঝুঁকি না হয়। সাধারণত প্রতি ট্রেডে জন্য, ১ শতাংশ এর বেশি ঝুঁকি না নেয়া ভাল।
আপনি যখন কোন খারাপ পরিস্থিতি মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করবেন তখন এই পদ্ধতিটি আপনাকে সাহায্য করবে।
তৃতীয় পদক্ষেপঃ
প্রত্যেক বিনিয়োগের জন্য আপনার পজিশনিং সাইজ নির্ধারণ করুন । যেমন ধরুন, আপনি একটি X কোম্পানি শেয়ার আপনি ক্রয় করতে চাচ্ছেন ধরুন
শেয়ারের প্রতি ক্রয় মূল্য ৮.৬০ টাকা ।
ক্রয় করা শেয়ারটির স্টপ লস (Stop-Loss) হিসেবে ৭.৯০ টাকা ধরে রাখলেন এবং
আপনি শেয়ারটির থেকে কি পরিমান লাভ নিতে যাচ্ছেন তা হল ১০.০০ টাকা ।
এখন প্রশ্ন হল কোন অবস্থান থেকে শেয়ারটি ক্রয় করব ?
প্রথমে আসা যাক কিভাবে আমরা ঝুঁকি ক্যালকুলেশন করব,
শেয়ারটির ক্রয় মূল্য ৮.৬০ টাকা - শেয়ারটির স্টপ লস ৭.৯০ টাকা = ০.৭০ টাকা
উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে আমাদের ০.৭০ টাকা করে ঝুঁকি রয়েছে ।
সহজ কথায় বলতে গেলে যদি আমরা এই ট্রেডে ব্যর্থ হই তাহলে ০.৭০ টাকা আমরা হারাবো ।বুঝার সুবিধার্থে এই ঝুঁকি কে আমরা ধরে নিচ্ছি -১R ।
এখন আসা যাক কিভাবে আমরা লাভ ক্যালকুলেশন করব
যদি আমাদের লাভের অংশ ১০ টাকা হয় তাহলে ,
শেয়ারটির ক্রয় মূল্য ৮.৬০ টাকা - শেয়ারটির প্রফিট টার্গেট ১০.০০ টাকা = ১.৪০ টাকা
উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে আমাদের ১.৪০ টাকা করে লাভ করব ।
সহজ কথায় বলতে গেলে যদি আমরা এই ট্রেডে লাভ করি তাহলে ১.৪০ টাকা আমরা পাব। বুঝার সুবিধার্থে এই ঝুঁকি কে আমরা ধরে নিচ্ছি ২R ।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে যে আমরা ১ টাকার বিপরীতে ২ টাকা লাভের জন্য ট্রেড করছি ।
এখন আসা যাক কতগুলো শেয়ার সংখ্যা ক্রয় করব,
![]() |
Long |
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা (Number of company shares ) = % ট্রেড প্রতি ঝুঁকি( Risk Per Trade) X (অর্থ) Capital / শেয়ার প্রতি ঝুঁকি( Risk Per Share)
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা = ১% X ১০,০০০ /০.৭০ = ১০০ / ০.৭০=১৪৩ শেয়ার সংখ্যা
তাহলে একটি ট্রেডে আমি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা হারাবো। যদি আমার একটি শেয়ার০.৭০ টাকা করে লস হয় তাহলে উপরের ক্যালকুলেশন অনুসারে আমার ১৪৩ সংখ্যার শেয়ার কিনতে হবে
X কোম্পানি শেয়ার পসিশন সাইজ = ৮.৬০ X ১৪৩ = ১২২৯.৮০ টাকা ।
উপরের ক্যালকুলেশন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে যদি আপনার কাছে ১০,০০০ টাকা থাকে তাহলে ১২২৯.৮০ টাকা অথবা ১৪৩ শেয়ার ক্রয় করতে হবে । এখানে একটি মজার ব্যাপার হলো যে ১২২৯.৮০ টাকা মধ্যে আপনার ঝুঁকি হলো সুধু মাত্র ১০০ টাকা । তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে আপনার পজিশনিং সাইজিং আপনার ঝুঁকি না।
এখন আমরা আরেকটি উদাহরণ দেখব যেখানে একটি শেয়ার ডাউন ট্রেন্ড রয়েছে ।
আপনি একটি X নামক কোম্পানি শেয়ার সংখ্যাকে আপনি বিক্রি (Short Sell) করতে যাচ্ছেন ধরুন
![]() |
Short Sell |
শেয়ারটির ক্রয় মূল্য (Entry Price ) = ১৬.৫০ টাকা ।
শেয়ারটির স্টপ লস হিসেবে রাখলেন ১৮.৬০ টাকা এবং
আপনি যতটুকু লাভ (Target Profit ) নিতে যাচ্ছেন তা হল ১২.৩০ টাকা।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে শেয়ার বিক্রয় (Short Sell) করব অথবা কমাব,
প্রথমে আসা যাক কিভাবে আমরা ঝুঁকি ক্যালকুলেশন করব,
শেয়ারটির বিক্রি (Short Sell) মূল্য ১৬.৫০ টাকা - স্টপ লস ( ক্রয় ) ১৮.৬০ টাকা = ২.১০ টাকা
উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে বিক্রয় (Short Sell) ২.১০ টাকা করে ঝুঁকি রয়েছে । সহজ কথায় বলতে গেলে যদি আমরা এই ট্রেডে বিক্রয় (Short Sell) করতে না পারলে ২.১০ টাতাক হারাবো । বুঝার সুবিধার্থে এই বিক্রয় (Short Sell) ঝুঁকি কে আমরা ধরে নিচ্ছি -১R ।
এখন আসা যাক কিভাবে আমরা লাভ ক্যালকুলেশন করব,
যদি আমাদের লাভ (Trget Proft ) অংশ ১২.৩০ টাকা হয় তাহলে ,
বিক্রয় (Short Sell) মূল্য ১৬.৫০ টাকা - প্রফিট টার্গেট ১২.৩০ টাকা = ৪.২০ টাকা
উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ার আমাদের ৪.২০ টাকা লাভ (Trget Proft ) ।সহজ কথায় বলতে গেলে যদি আমরা এই ট্রেডে লাভ (Trget Proft ) হয় তাহলে ৪.২০ টাকা আমরা পাব । বুঝার সুবিধার্থে এই ঝুঁকি কে আমরা ধরে নিচ্ছি ২R ।
এখন আসা যাক কতগুলো শেয়ার সেল (Short Sell) করব,
![]() |
Short Sell |
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা (Number of company shares )= % ট্রেড প্রতি ঝুঁকি( Risk Per Trade) X (অর্থ) Capital / শেয়ার প্রতি ঝুঁকি( Risk Per Share)।
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা= ১ % X ১০,০০০ / ২.১০ = ১০০ /২.১০ = - ৪৮ শেয়ার সংখ্যা।
তাহলে একটি ট্রেডে সর্বোচ্চ আমি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা হারাবো। যদি আমার একটি শেয়ার ২.১০ টাকা করে লোকসান হয় তাহলে উপরের ক্যালকুলেশন অনুসারে আমার -৪৮ টা শেয়ার বিক্রয় (Short Sell) করতে হবে।
X কোম্পানি শেয়ার পসিশন = ১৬.৫০ X -৪৮ =- ৭৯২.০০ টাকা
উপরের ক্যালকুলেশন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে যদি আপনার কাছে ১০,০০০ টাকা(+-) থাকে তাহলে -৭৯২.০০ টাকা অথবা -৪৮ শেয়ার বিক্রয় (Short Sell) করতে হবে। এখানে একটি মজার ব্যাপার হলো যে -৭৯২.০০ টাকার মধ্যে আপনার ঝুঁকি হলো সুধু মাত্র ১০০ টাকা । তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে আপনার পজিশনিং সাইজিংপরিবর্তন হছে কিন্তু আপনার জন্য ঝুঁকি কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
আমি যতটুক জানি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। ( বিনিয়োগকারী.কম) শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে গণসচেতনতা মুলক পোস্ট করার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য। যারা শেয়ার ( Share Market) মার্কেটে জুয়াড়ি মনোভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেন তাদের থেকে যত দূরে থাকবেন ততোই ভালো। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন "অর্থ আপনার সিদ্ধান্ত আপনার"
গুগল প্লে স্টোর থেকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে সেরা বিনিয়োগকারী.কম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন:
বিনিয়োগকারী .কম বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পুজিবাজার সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট - আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন!বিনিয়োগকারী.কম এখন ইউটিউবে!নিয়মিত ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ক ভিডিওগুলো পেতে Biniogkari ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন !এই লিঙ্কে চলে যান : Biniogkari সাবস্ক্রাইব বাটনটি হিট করুন
No comments:
Post a Comment
আমরা প্রশংসনীয় মূল্যবান মন্তব্য। দয়া করে স্প্যাম করবেন না